ঢাকা , বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ , ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আফগানিস্তানকে নিষিদ্ধের আহ্বান রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিব জনগণের সমস্যা সমাধানে রাজনীতিবিদদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে দেশে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে-তথ্য উপদেষ্টা সর্বনিম্ন ফিতরা ১১০ সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা চলতি বছরের মধ্যে পাচারকৃত অর্থের কিছু অংশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব-অর্থ উপদেষ্টা পদযাত্রায় সংঘর্ষে শিক্ষার্থী-পুলিশ আহত ধর্ষকের শাস্তি জনসম্মুখে করাসহ ৬ দাবি ঈদের পর এনসিপির চূড়ান্ত রাজনৈতিক এজেন্ডা শ্রমিকদের ওপর হামলার বিচার ও বেতনের দাবি ঝিমিয়ে পড়েছে বিদেশী বাজেট সহায়তার প্রতিশ্রুত অর্থছাড় প্রক্রিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোচিং ক্লাস-প্রাইভেট পড়ানো যাবে না ন্যায়বিচার-মানবাধিকার নিশ্চিতের আহ্বান চার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রবাসীদের জন্য ‘প্রক্সি ভোট’ নিয়ে ভাবছে ইসি শেখ পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ট্রেনের যাত্রী জিম্মি উদ্ধারে গিয়ে ২০ সেনা নিহত ট্রেনে জঙ্গি হামলা জিম্মি ৫শ’ যাত্রী পল্লবী থানায় ঢুকে হামলা ওসিসহ আহত ৩ রাখাল রাহার ৪শ’ কোটি টাকা বাণিজ্যের তথ্য ভুয়া ব্যবসায়ী হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

বাফুফের ওপর থেকে ফিফার আর্থিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

  • আপলোড সময় : ০৮-০৩-২০২৫ ১০:২৯:৪৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০৩-২০২৫ ১০:২৯:৪৯ অপরাহ্ন
বাফুফের ওপর থেকে ফিফার আর্থিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
সাত বছর পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) অবশেষে মুক্ত হলো ফিফার আর্থিক নিষেধাজ্ঞা থেকে। ২০১৮ সাল থেকে ফিফার কড়া নজরদারিতে থাকা বাফুফে এখন স্বাভাবিক নিয়মে অনুদান পাবে এবং উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবে।
বাফুফের প্রধান আয়ের উৎস ফিফার অনুদান। তবে ২০১৮ সালে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ফিফা বিশেষ নজরদারি আরোপ করে। অনুদানের অর্থ পেলেও তা ধাপে ধাপে ছাড় করা হতো, যা বাফুফের জন্য ছিল এক ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি।
২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বাফুফের ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিভিন্ন অসঙ্গতি ধরা পড়ে ফিফার তদন্তে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের এপ্রিলে বাফুফের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিষিদ্ধ করা হয়। পরে ২০২৪ সালের মে মাসে তাঁর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়ে তিন বছর করা হয়। এ ছাড়া বাফুফের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার আবু হোসেন ও ম্যানেজার (অপারেশন্স) মিজানুর রহমানকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
বাফুফের বর্তমান সভাপতি তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বে আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বিশেষ করে ফিফার নির্ধারিত আর্থিক ব্যবস্থাপনার মানদণ্ড অনুসরণ করা হয়। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফিফার একটি অডিট প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে এবং তাদের পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফিফার এই সিদ্ধান্ত বাফুফের জন্য বড় স্বস্তি। এখন তারা শুধুমাত্র নিয়মিত অনুদানই পাবে না, বরং উন্নয়ন প্রকল্পের জন্যও আবেদন করতে পারবে। অর্থের প্রবাহ স্বাভাবিক হওয়ায় দেশের ফুটবলের উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নের পথে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। এখন বাফুফের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এই আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং ফিফার দেওয়া সুযোগগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স